আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়, এসিডদগ্ধ পোশাক শ্রমিক রেশমা আক্তারের উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রেশমার উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার চেক রেশমার বাবা সোলায়মানের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
বর্তমানে রেশমা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের বেডে জীবন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন মনে করছেন তার পরিবার।
রেশমা এর আগে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল।
জানা গেছে, মেহেদী হাসান (১৯) নামের এক বখাটে গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও এলাকায় গার্মেন্টস থেকে ফেরার পথে এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। তখন রেশমার সাথে তার বান্ধবী স্বপ্না (১৮) এসিড দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ২ তরুণীকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটানায় পোশাক শ্রমিক মোছাঃ রেশমা আক্তার সাফিয়া’র পিঠ হতে নিতম্ব পর্যন্ত ও তার বান্ধবী স্বপ্না আক্তারের ডান হাতের কনুইয়ের চামড়া ঝলসে গেছে।
পরে রেশমার বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় গত ২১/০৩/২০২১ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২২ মার্চ দুপুরের পর অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ।
তবে রেশমার শরীরে কি ধরনের দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারা হয়েছিল জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোহাগ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে রিপোর্ট পেলে জানানো হবে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, এনজিওসহ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি রেশমার উন্নত চিকিৎসার জন্য সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।